Skip Navigation
Close

Note

This page is not available in the selected language.

মেটলাইফ: আপনার বিশ্বস্ত প্রতিনিধি

মানুষ যখন অনাগত ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তার বেড়াজালে বন্দী থাকে, তখন সেই অনিশ্চয়তার ঝুঁকিগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করে বীমা বা ইনসিওরেন্স। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষকে অনাগত ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়ে আসছে এমন বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মেটলাইফ। ১৯৬৫ সাল থেকে মেটলাইফ বিশ্বের শীর্ষ বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আজ মেটলাইফ ৪০ টিরও বেশি দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন গ্রাহকের জীবনে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে নির্ভরতার প্রতীক।

মেটলাইফের শুরুটা হয়েছিল ১৮৬৪ সালে, দি ন্যাশনাল ইউনিয়ন লাইফ অ্যান্ড লিম্ব ইনসিওরেন্স কোম্পানি নামে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের নাবিক ও যোদ্ধাদের জন্য যুদ্ধঘটিত অক্ষমতার বিপরীতে বীমা প্রদানের মাধ্যমে। কোম্পানিটি এরপর ১৮৬৮ সালে নাম পরিবর্তন করে মেট্রোপলিটন লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি বা সংক্ষেপে মেটলাইফ নামে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। লাইফ ইনসিওরেন্স, অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড হেলথ ইনসিওরেন্স এবং এমপ্লয়ি অ্যান্ড হেলথ বেনিফিট ইনসিওরেন্স প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে মেটলাইফ এবং ১৯০৯ সাল নাগাদ মেটলাইফ আমেরিকার সবচেয়ে বড় এবং নেতৃস্থানীয় জীবন বীমা কোম্পানি হয়ে ওঠে। ১৯৩০ সাল নাগাদ আমেরিকার প্রতি ৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশুর মধ্যে ১ জনকে ইনসিওরেন্সের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয় মেটলাইফ। ২০১০ সালে মেটলাইফ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ (AIG)-এর কাছ থেকে আমেরিকান লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানিকে (Alico) কিনে নেয়। যা মেটলাইফকে আরো বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করে।

আমেরিকায় শীর্ষস্থান অর্জনের পর একে একে বিভিন্ন দেশে তাদের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষ কে আর্থিক ঝুঁকির অনিশ্চয়তা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে মেটলাইফ। কোম্পানিটি আমেরিকা অঞ্চলের ২৫ টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং একই সাথে ফরচুন-৫০০ এর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বীমা সুরক্ষা প্রদান করছে। এছাড়া চিলি, মেক্সিকোসহ লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ অঞ্চলে শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই অঞ্চলে ১৫০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যাংক্যাসিউরেন্সের ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিচ্ছে মেটলাইফ। এছাড়াও এশিয়া অঞ্চলের জাপান এবং কোরিয়ায় বিদেশি বীমা কোম্পানি হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে এবং চীনে ডিরেক্ট মার্কেটিংয়ে ৩য় অবস্থানে রয়েছে তারা। বাংলাদেশেও প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে বীমা সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের ১ নম্বর বীমা কোম্পানি হিসেবে সবার পছন্দের শীর্ষে আছে মেটলাইফ। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে বীমা সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে কোম্পানিটি।

সামাজিক ও কর্পোরেট পর্যায়ে দায়িত্বশীলতার অংশ হিসেবে মেটলাইফ ১৯৭৬ সালে গড়ে তুলেছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। যার বৈশ্বিক লক্ষ্য হল স্বল্প আয়ের মানুষদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সক্ষম করে তোলা। যেসকল প্রতিষ্ঠান স্বল্প আয়ের মানুষদের শিক্ষা, পণ্য ও সেবা প্রদান করে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন আর্থিকভাবে নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ২০১৭ পর্যন্ত মেটলাইফ ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে ৭৮৩ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে; এছাড়াও ৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, যারা কমিউনিটির গুণগত পরিবর্তন আনতে কাজ করছে। মেটলাইফ ফাউন্ডেশন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১২ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেছে।

১৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় বর্তমানে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক কর্মী আর ৫৮৪.২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মেটলাইফ নিজেকে গড়ে তুলেছে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বীমা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। মেটলাইফ ১৯৬৫ সাল থেকে বিশ্ববাজারে ধরে রাখা অবস্থানকে ধরে রাখতে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত আর গ্রাহকদের কাছে পরিণত হয়েছে এক বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হিসেবে।

বি.দ্র: “উল্লেখিত র‍্যাঙ্কিংসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে গ্লোবাল কর্পোরেট ফ্যাক্ট শিট ২০১৮ থেকে"