হজ এবং ওমরাহ্ এর জন্য কীভাবে অর্থ সঞ্চয় করবেন 

একজন মুসলিম ব্যক্তির জীবনে হজ পালনের মতো ধর্মীয় দায়িত্বের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই , প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম জীবনে অন্তত একবার হজ পালনে সক্ষম হতে চান।

সৌদি আরব হজের জন্য জনপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়াতে, বাংলাদেশি মানুষজন এখন সরকার প্রদত্ত ট্যুর প্যাকেজগুলির পাশাপাশি বেসরকারি প্যাকেজও কিনতে পারেন। ২০১৯ সালে হজের জন্য জনপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩. ৪৫ লক্ষ টাকা। আর এই কারণেই বাংলাদেশীদের এই গুরুত্বপূর্ণ সফরটি করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত আর্থিক পরিকল্পনা রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই, হজযাত্রীদের সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশের লোকেরা হজ পালনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ জমানোর জন্য একটি মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প শুরু করতে পারে। তবে প্রচলিত সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টগুলো শুধুমাত্র আপনার সঞ্চয় নিশ্চিত করে, যেখানে হজ এবং ওমরাহ্‌ প্ল্যান সঞ্চয়ের পাশাপাশি হজের পূর্বে ও হজ চলাকালীন সময়ে আপনার সুরক্ষাও নিশ্চিত করে।" 

এই গুরুত্বপূর্ণ যাত্রার উদ্দেশ্যে শতভাগ শরিয়াহ সম্মত উপায়ে অর্থ জমানোর জন্য একটি হজ এবং ওমরাহ্‌ পরিকল্পনার প্রয়োজন, যেমন মেটলাইফেরhttps://www.metlife.com.bd/solutions/takaful-updated/hajj-and-umrah/, যা বীমা সুবিধার পাশাপাশি শরিয়াহ সম্মত উপায়ে হজ ও ওমরাহ্‌ সুবিধা প্রদান করে থাকে। পলিসির  মেয়াদপূর্তিতে পলিসিধারীরা তাদের হজযাত্রার তহবিলের জন্য একাউন্ট মূল্যের সমপরিমাণ একটি এককালীন অর্থ পাবেন। এছাড়াও পলিসির গ্রাহকেরা জীবনবিমার আওতায় থাকবেন, অর্থাৎ একাউন্ট মূল্য জমা হওয়ার সময়কালে পলিসি গ্রাহকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সুবিধাগ্রাহীকে একাউন্ট মূল্য অথবা অভিহিত মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি সেটি প্রদান করা হবে। হজ পালনকালীন সময়ে পলিসি গ্রাহকের স্বাভাবিক মৃত্যুতে সুবিধাগ্রাহীকে অভিহিত মূল্যের ১০০% এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে অভিহিত মূল্যের ২০০% প্রদান করা হবে। হজ এবং ওমরাহ্‌ পরিকল্পনা আয়করের উপরও সুবিধা প্রদান করে থাকে।

সুতরাং, একটি হজ এবং ওমরাহ্‌ পরিকল্পনা ক্রয় করে নিশ্চিত করুন যে আপনি হজযাত্রার আর্থিক ব্যয় বহনে প্রস্তুত, উপর্যুপরি যা আপনাকে বীমা সুবিধাও প্রদান করবে।