বিনিয়োগ করার সঠিক প্ল্যান

সুরক্ষিত আগামীর জন্য লক্ষ্য স্থির করুন

আপনার বিনিয়োগ থেকে সর্বোচ্চ লাভ পেতে হলে সবার আগে একটি ভালো কৌশল দরকার। যদিও, কোনো বিনিয়োগ না থাকার চেয়ে যে কোনো বিনিয়োগ থাকাই ভালো, তবুও তাতে আপনার লক্ষ্যের সাথে মিল থাকাটাই আসল। বাংলাদেশের ইনসিওরেন্স এবং ব্যাংক/নন-ব্যাংক ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার বিনিয়োগের বিপরীতে ভালো পরিমাণে রিটার্ন বা লাভসহ অনেকগুলো অপশন নিয়ে এসেছে। কিন্তু আপনার মনের মতো বিনিয়োগ পরিকল্পনাটি আপনি কীভাবে পাবেন?

কোথায় আপনার বিনিয়োগ করা উচিত?

ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের জগতে বিনিয়োগের অনেকগুলো উপায় রয়েছে। যেখানে কেউ স্বল্পমেয়াদি রিটার্ন বা লাভ দেয়, অনেকে দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ দেয়, অন্যেরা হয়তো আপনাকে আর্থিক সুরক্ষার পাশাপাশি জীবনেরও সুরক্ষা দিতে পারে। সর্বোপরি, নির্দিষ্ট একটি বিনিয়োগের সাথে আপনার আর্থিক লক্ষ্যের সম্মিলন ঘটানোটা জটিল হতে পারে।

বিনিয়োগের সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন

কোথাও বিনিয়োগ করার আগে আপনার আর্থিক লক্ষ্যটি নির্ধারণ করা জরুরি। একটি বিনিয়োগ পেছনে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য থাকতে পারে, যেমন- রিটায়ারমেন্ট বা অবসরের জন্য টাকা জমানো; আবার স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যও থাকতে পারে, যেমন- গাড়ি কেনার ডাউন পেমেন্ট করা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আপনার ব্যক্তিগত ঝুঁকি সহনশীলতা আর বিনিয়োগের সময়সীমা। এটিও মনে রাখতে হবে, বিনিয়োগের মূল্য হারালে আপনি কি তা বিক্রি করবেন নাকি রিটার্ন বা লাভ পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করবেন।

যখন আপনি আপনার লক্ষ্য আর ঝুঁকি সহনশীলতা নির্দিষ্ট করতে পারবেন তখনই আপনি একটি আদর্শ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হল স্টক ও বন্ড মার্কেট, এতে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে একটি নির্দিষ্ট হারে রিটার্ন বা লাভ পাওয়া যায় এবং মূল্যস্ফীতিও এতে কোনো প্রভাবও ফেলে না। আবার স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলো ভালো অপশন হতে পারে। তবে, যদি আপনি আর্থিক দিক এবং জীবনের সুরক্ষা একসাথে বিবেচনা করেন তাহলে লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসিই আপনার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। যা-ই হোক না কেন, ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টই হলো মূল বিষয়।

 সিদ্ধান্ত নিন

যদিও, কোনো বিনিয়োগ না থাকার চেয়ে যে কোনো বিনিয়োগ থাকাই ভালো, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ভুল অপশনটি বেছে নেওয়ার ঝুঁকি থাকে, যার ফলে কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে আপনার লক্ষ্যটি অর্জন নাও হতে পারে। কোথাও বিনিয়োগ করার আগে আপনার লক্ষ্য ও তা অর্জনের কাঙ্ক্ষিত সময়টি নির্ধারণ করুন। জীবন ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আপনি খুব সহজেই মেটলাইফ বাংলাদেশ অফিসে বা আমাদের ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটদের সাথে পরামর্শ করে আপনার এবং পরিবারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসিটি গ্রহণ করতে পারেন।