লাইফ ইনসিওরেন্সের প্রিমিয়াম আপনার বয়স ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়
যখন আপনি তরুণ এবং স্বাস্থ্যবান, তখনই লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি কাভারেজ পাওয়া বেশি সহজ হতে পারে। আপনি যখন লাইফ ইনসিওরেন্সের জন্য আবেদন করবেন ঠিক তখন বাংলাদেশি ইনসিওরেন্স কোম্পানিগুলো আপনার বয়স ও স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে এর সুবিধা এবং মূল্য নির্ধারণ করে। লাইফ ইনসিওরেন্স প্রদানকারীরা জানেন যে- আপনার বয়স যতো কম হবে, আপনার দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ততো বেশি।
আপনি তরুণ হলে কোম্পানির কাছে আপনি কম ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হবেন এবং ইনসিওরেন্সের প্রিমিয়ামও আপনাকে কম দিতে হবে- আপনার কল্পনার চাইতেও কম দিতে হবে
শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের আগেই লাইফ ইনসিওরেন্স গ্রহণ করা লাভজনক হতে পারে। ইনসিওরেন্স প্রদানকারীরা সাধারণত আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে ইনসিওরেন্সের মূল্য নির্ধারণ করেন। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থেকেই লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি এই উত্তরগুলোর মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলো কম নাকি বেশি তা নির্ধারণ করেন।
বয়স যতো বাড়তে থাকে আপনার ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ততোটাই কঠিন হয়ে যাবে
আপনার বয়স বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ারে অগ্রগতির সাথে আপনি না চাইলেও আপনার ব্যয়ও বেড়ে যাবে। আপনি কোথায় থাকবেন, কিংবা বাড়ি কিনবেন অথবা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো আপনার জীবনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সাথে আপনার বাজেটও পরিবর্তন করতে হতে পারে।
আপনার জীবনের এই পরিবর্তনগুলোর সাথে আপনার লাইফ ইনসিওরেন্সেও তার প্রতিফলন থাকা উচিত। আপনার জীবনে এই পরিবর্তনগুলো আসার আগে যদি আপনি অল্প বয়সেই লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি গ্রহণ করেন তাহলে পরবর্তীতে তা এডজাস্ট করতে আপনার তুলনামূলকভাবে অনেক কম খরচ হতে পারে। আবার যদি আপনি এসব পরিবর্তনের পরে পলিসি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অনেক বেশি খরচ করতে হতে পারে।
অল্প বয়সে পলিসি গ্রহণের মাধ্যমে যেমন আপনার প্রিমিয়াম হিসেবে কম খরচ করতে হবে তেমনি পরবর্তী জীবনেও ইনসিওরেন্স গ্রহণের খরচও বেঁচে যাবে
আপনার প্রাপ্য সুবিধার পরিমাণও বেশি হতে পারে
আপনার বয়স কম হলে যেহেতু আপনার লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি কিনতে কম ব্যয় হবে, সেক্ষেত্রে মেয়াদী জীবন বীমা বা টার্ম লাইফ ইনসিওরেন্সে আপনি আরো বেশি সুবিধা পেতে পারেন। টার্ম লাইফ ইনসিওরেন্স, যার নামেই বোঝা যাচ্ছে, এটি এমন এক ধরনের লাইফ ইনসিওরেন্স যা নির্দিষ্ট রেটে, সুনির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে কভারেজ প্রদান করে, যা পলিসির মেয়াদকালজুড়ে একই থাকে। পুরো লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসির তুলনায় টার্ম লাইফ পলিসিই সাশ্রয়ী হয়ে থাকে এবং অল্প বিনিয়োগের তুলনায় বেশি পরিমাণে লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। মেটলাইফ বাংলাদেশের পোর্টফোলিওতে ডিপিএস সুপার, তাকাফুল ডিপিএস এবং আরো অনেক ধরনের লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি রয়েছে, যদি আপনি অল্প বয়সেই শুরু করেন তাহলে তা থেকে আকর্ষণীয় রিটার্ন পেতে পারেন।
লাইফ ইনসিওরেন্সের প্রাথমিক উদ্দেশ্যটি হল, আপনার আয় এবং আপনার উপর নির্ভরশীল মানুষদের সুরক্ষিত রাখা। যেহেতু পরিবর্তনের মাধ্যমেই জীবন এগিয়ে চলে, তাই প্রতি পদক্ষেপে জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, জীবনের পথটাকে ভাবনাহীন করতে অল্প বয়সে লাইফ ইনসিওরেন্স গ্রহণ আপনাকে যেমন একটা বড়ো সঞ্চয় দিতে পারে তেমনি অধিকতর আর্থিক সুরক্ষার দিতে পারে।